টাঙ্গাইল দেলদুয়ার উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামের মাজেদুর রহমানের স্ত্রী তানিয়া আক্তার বাদি হয়ে দেলদুয়ার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গত ২৪ তারিখ বুধবার আনুমানিক বিকেল ৩ টার দিকে তার স্বামী মাজেদুরের বাড়ীতে ১৫/২০ লোক এসে দিন-দুপুরে ডাকাতী করে ঘরের জিনিসপত্র নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন।
অপরদিকে থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়-কনা আক্তার (৩২) এর সাথে প্রায় ১০ বৎসর আগে আমার স্বামী মাজেদুর রহমানের সাথে বিবাহ হয়। আমার স্বামী সংসার করা অবস্থায় কনা আক্তার বিভিন্ন লোকের সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত হইয়া পরে । পরবর্তীতে আমার স্বামী উক্ত পরকিয়ার বিষয়ে জানতে পারিলে স্বাক্ষী ও প্রমাণ সহ কনাকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আমার স্বামী তাকে তালাক দেয় এবং তালাক দেওয়ার ৪ মাস পর আমার স্বামীর নামে টাঙ্গাইল বিজ্ঞ আদালতে দেনমোহর যৌতুক উল্লেখ্য করিয়া একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। আমার স্বামী উক্ত মামলায় হাজিরা দিতে গেলে তাকে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে হাজতে প্রেরণ করে। আমার স্বামী বাড়িতে না থাকায় সেই সুযোগে গত ২৪/০৯/২৫ ইং তারিখে কনা আক্তার সহ অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে বিকাল আনুমানিক ৩টার দিকে পরিকল্পিত ও সঙ্গবদ্ধ হয়ে বাড়িতে এসে আমাকে মারধর ও ভয়ভিতি দেখিয়ে গ্রিলের তালা ভেঙ্গে আমার ঘরে প্রবেশ করে, আসবাবপত্র,আলমারি,বক্স খাট,ওয়ারড্রব,সুকেস,আইপিএস ইত্যাদি আমার স্বামীর ব্যবসায়ীক ৫,০০০০০/-(পাঁচ লক্ষ) টাকা ও আলমারিতে থাকা আমার এবং আমার মৃত.শ্বাশুড়ির রক্ষিত স্বর্ণ পাঁচ ভরি তারা উক্ত জিনিস পত্রের সাথে সাকুল্য মূল্য প্রায় ১১,০০০০০/-টাকা। উক্ত জিসিন পত্র নিতে বাধা দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারতে আসে। পরে আমি পাশের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেই এবং প্রতিবেশী লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের হাতে অস্ত্র-সস্ত্র থাকায় কেউ কিছু বলতে সাহস পায় নাই। পরে আমার চাচা শশুর শুনে ৯৯৯ এ ফোন করলে-দেলদুয়ার থানার পুলিশ পরিদর্শন করে এবং ঘটনাটি সরোজমিনে দেখে শুনে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে কনা আক্তার বলেন-ঐটা আমার স্বামীর বাড়ী ছিলো। দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর আমি মাজেদুরের সাথে সংসার করি। আমাদের কোন সন্তান হয়নি। হঠাৎ করে আমাকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। পরে আমাকে ডিভোর্স লেটার পাঠায় বলে আমি জানি। কিন্তু আমি পায়নি। পরে লোক মারফতে শুনতে পাই উনি নাকি আরেক টি বিয়ে করেছেন। আমার বাবা তাকে বিয়ের সময় আসবাবপত্র দিয়ে ছিলো। সে গুলি মা,বাবা ও চাচাদের নিয়ে এসে আমার জিনিসপত্র নিয়ে যাই। যেহেতু আমার সাথে মাজেদুর সংসার করবে না তা হলে আমার বাবা দেওয়া জিনিসপত্র কেন রাখবো। তাই আমি আসবাবপত্র গুলি নিয়ে গিয়েছি।
কনার বাবা আব্দুর রহিম বলেন- আমার মেয়ের বিয়ের সময় আসবাবপত্র,আলমারি,বক্স খাট,ওয়ারড্রব,সুকেস,আইপিএস সহ বিভিন্ন জিনিস পত্র বিয়ের সময় দেয়া হয়। যেহেতু আমার মেয়ের সাথে সংসার করবে না। তাই আমি মাতব্বর ও গ্রাম্য পুলিশ সাথে নিয়ে গিয়ে আমি আমার জিনিস পত্র নিয়ে এসেছি।